আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): একটি শিক্ষা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাৎজ বলে, ‘ইসরাইল গাজায় নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখবে এবং সেখানে একটি বড় নিরাপত্তা বাফার জোন তৈরি করবে।
এর আগেও এই সপ্তাহে উত্তর গাজায় বসতি স্থাপন নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিল কাৎজ। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের মতে, , এসব বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করে এবং পরে সে আংশিকভাবে সেসব মন্তব্য থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।
কাৎজ বলে, ‘সময় এলে সংগঠিতভাবে উত্তর গাজায় নাহাল আউটপোস্ট স্থাপন করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, নাহাল আউটপোস্ট ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তরুণভিত্তিক বসতি কাঠামো, যেখানে সামরিক সেবার সঙ্গে বসতি স্থাপনের কার্যক্রম যুক্ত থাকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভয়ে এর আগে দেওয়া বক্তব্য থেকে সরে আসার খবর অস্বীকার করে কাৎজ বলে, গাজায় ইসরাইল কার্যত ‘ডি ফ্যাক্টো সার্বভৌমত্ব’ প্রয়োগ করবে, যা তিনি দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের নীতির সঙ্গে তুলনা করে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, চলমান সহিংসতা শুরুর পর থেকেই ইসরাইল দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ জোরদার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরবাড়ি ধ্বংস, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং বসতি সম্প্রসারণ।
দখলকৃত পশ্চিম তীর আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত (অ্যানেক্সেশন) করা হলে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ প্রায় সাড়ে সাত লাখ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।
Your Comment